এবার শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদ-উল-ফিতরের জামাত নির্বিঘ্ন করতে মুসল্লীদের নিরাপত্তায় নেয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ২৭ এপ্রিল (বুধবার) ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম ও জেলা পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার)।
ঈদের জামাতের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হবে। র্যাব, পুলিশের পাশাপাশি ৫ প্লাটুন বিজিবিও থাকবে নিরাপত্তার দায়িত্বে। ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন সহ পুরো মাঠ ও আশেপাশের এলাকা থাকবে সিসি ও ড্রোন ক্যামেরার আওতায়। জরুরি পরিস্থিতি সামলাতে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে ৬টি এ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট।
শোলাকিয়া ময়দানে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত শুরু হবে সকাল ১০ টায়। করোনার কারণে দুইবছর বন্ধ থাকার কারণে এটি হবে ১৯৫তম জামাত। এবছর ইমামতি করবেন মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ এবং বিকল্প ইমাম হিসেবে থাকবে মাওলানা সোয়াইব বিন আঃ রউফ।
প্রত্যেকটি প্রবেশ পথে দেহ তল্লাশী ও কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে ঈদগাহ মাঠে প্রবেশ করতে হবে। বম্ব ডিসপোসাল টিম, পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম, মাইন ডিটেক্টর ইউনিটসহ পোশাকধারী পুলিশের সাথে গোয়েন্দা ও সাদা পোশাকের অন্যান্য টিম মাঠে কাজ করে যাবে। নিরাপত্তার খাতিরে ঈদগাহ ময়দানে আগত মুসল্লীরা মোবাইল ফোন ও ছাতা বহন করতে পারবেনা। তবে বৃষ্টি হওয়া সাপেক্ষে ছাতার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জায়নামাজ ও মাস্ক ছাড়া মুসল্লীদের অন্যকিছু বহন না করতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে ঈদের জামাতে অংশগ্রহনের সুবিধার্থে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব ও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ লাইনে ‘শোলাকিয়া এক্সপ্রেস’ নামে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। সকাল ৬টায় শোলাকিয়া এক্সপ্রেস- ১ ভৈরব থেকে ছেড়ে সকাল ৮টায় কিশোরগঞ্জ পৌঁছবে, আবার দুপুর ১২ টায় কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে দুপুর ২টায় ভৈরব পৌঁছবে। অপরদিকে শোলাকিয়া এক্সপ্রেস- ২ সকাল ৬টায় ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে সকাল ৮টায় কিশোরগঞ্জ পৌঁছবে, আবার দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে বেলা ৩টায় ময়মনসিংহে পৌঁছবে।
সরেজমিনে ঈদগাহ ময়দানের সার্বিক নিরাপত্তা ও ব্যস্থাপনা কার্যক্রম পরিদর্শন করার সময় জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের সাথে কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, পৌর মেয়র মো. পারভেজ মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ঈদগাহ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, র্যাব- ১৪ (সিপিসি- ২), কিশোরগঞ্জের ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোঃ শাহরিয়ার মাহমুদ খান, কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ দাউদ প্রমুখ ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সংবাদ কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।