ওয়াশিংটন ডিসিতে যথাযথ মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে ।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস ৮ আগস্ট ( রবিবার ) দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে পরিবার, দেশ এবং জাতির জন্য বঙ্গমাতার আত্মত্যাগ স্মরণ করে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার মেহেদী হাসান এবং প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম মঈনুল হাসান।
রাষ্ট্রদূত এম সহিদুল ইসলাম তার বক্তব্যে নিজ পরিবারের প্রতি বঙ্গমাতার অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধুর জীবনে তাঁর প্রভাব এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের গতিপথ নির্ধারণে পর্দার অন্তরালে থেকেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা বঙ্গবন্ধুর কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণে বঙ্গমাতা যেভাবে ভূমিকা রেখেছিলেন তা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
বক্তব্য শেষে, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিবের জীবন ও কর্মের ওপর একটি একটি তথ্যবহুল ও ঐতিহাসিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয় ।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নারকীয় হামলায় শহীদ হওয়া সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে একটি বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।