উৎসব প্রিয় বাংলাদেশের মানুষের কাছে নির্বাচনও একটি উৎসব। বলা চলে, নির্বাচন একটি সার্বজনীন উৎসব। যে উৎসবের ঢেউ সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষকে আন্দোলিত করে।
আসছে পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তেমনিভাবে উৎসবের আমেজে আন্দোলিত হচ্ছে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলা। হাওর অঞ্চলের প্রবেশপথ খ্যাত করিমগঞ্জ পৌরসভায় অফিসপাড়া থেকে চা ষ্টল সর্বত্রই আলোচনার প্রধান বিষয় এখন পৌর নির্বাচন। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের প্রায় সবকটিতেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৪-৫ জন করে কাউন্সিলর পার্থী। ব্যানার পোস্টার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়াও বাড়ি বাড়ি প্রার্থীদের জনসংযোগ চোখে পড়ছে।
তবে মেয়র পার্থীতা নিয়েই চলছে মূল আলোচনা।দেশের প্রধান দুটি দলের মধ্যে আওয়ামী লীগ এর একাধিক পার্থী এখানে মাঠে সক্রিয় আছে। গত দুইবারের নির্বাচিত মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক হাজী আব্দুল কাইয়ুম বরাবরের মতোই এবারও আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। বিগত নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েও বিদ্রোহী পার্থী হিসেবে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী কামরুল ইসলাম চৌধুরী মামুন এবং বিএনপি মনোনীত পার্থী আশরাফ হুসেন পাভেলকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেছিলেন। এবারেও তিনি দলীয় মনোনয়ন চাইবেন।
করিমগঞ্জ পৌরনির্বাচনে আওয়ামীলীগ এর মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সিরাজী এর নাম জোরালোভাবে আলোচনায় আসছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য -সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সিরাজী কে নির্বাচনে চমক হিসেবে দেখছেন অনেকেই । সম্প্রতি কিছু নির্বাচনী আলোচনা সভা ছাড়াও দলীয় নেতা কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি ।
অপরদিকে দেশের অপর বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির কোন নেতৃবৃন্দকে নির্বাচনী মাঠে এখনও সক্রিয় ভুমিকায় দেখা যায়নি। কর্মীদের মুখে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান দুলাল শিকদার এবং প্রধান অঙ্গসংগঠন যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক এড.মোশাররফ হোসেন এর নাম শুনা যাচ্ছে। পাশাপাশি বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে ধনাঢ্য ব্যবসায়ী মামুন ভূঁইয়া এর নামও আলোচনায় আছে ।
পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তরুণ ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক মোঃ বায়েজিদ হোসেন হৃদয় জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। শহরের বিভিন্ন স্থানে তার ব্যানার-পোস্টার ও সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক প্রচারণা দেখা যাচ্ছে। তবে তিনি জাতীয় পার্টি থেকে মনোননয়ন চাইতে পারেন বলে জানা গেছে।
পোস্টার ফেস্টুনের প্রচারণায় না থাকলেও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মনোনয়ন চাইছেন দলটির করিমগঞ্জ পৌর শাখার সভাপতি মোঃ হাবিবুল্লাহ । তিনি ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন করিমগঞ্জ উপজেলা শাখার পর পর দুইবার সভাপতি ছিলেন। দলীয় মনোননয়ন প্রত্যাশী হিসেবে তিনিও কর্মী সমর্থকের সাথে জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
অবহেলিত করিমগঞ্জ পৌরসভার ব্যাপক উন্নয়ন করতে দক্ষ সংগঠক, জননেতা জাহাঙ্গীর সিরাজীর বিকল্প নেই।