না, এটা গৌরবের নয় – আমিও এই আহবায়ক কমিটির একজন যুগ্ম আহবায়ক কিন্তু কোনদিনই গলা ফুলিয়ে বলব না আমি কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুবলীগ-এর ০৯ বৎসর যুগ্ম আহবায়ক ছিলাম। কারণ আমাদের নির্ধারিত মেয়াদ ছিলো ৯০ দিন। তারপরও টেনে নিয়ে সেটা এক-দেড়-দুই বা সর্বোচ্চ ০৩ তিন বৎসর যথেষ্ট ছিলো। এরপরই উচিত ছিলো পরিবর্তন।
তবে আমার একার কিছুই করার ছিলো না। আমি তো ইচ্ছে করলেই গঠনতন্ত্রের সীমা লংঘন করে একটা মিটিং ডাকার বা সম্মেলন আহবানের এখতিয়ার রাখি না। বিভিন্ন উপজেলায় গিয়ে অনেক কথাই শুনতে হয়। যারা মাঠে আছেন তারাও শুনেন, আজ পর্যন্ত আমাদের এই আহবায়ক কমিটি কেন একটা ওয়ার্ড কমিটিও করতে পারিনি ? তবে আজ থেকে প্রায় ১৫ / ১৬ মাস আগে কেন্দ্রীয় কমিটি বরাবর লিখিত রিপোর্টে কিশোরগঞ্জ জেলা যুবলীগের বর্তমান কমিটি ভেঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে নতুন কমিটি করার অনুরোধ জানিয়ে এসেছিলাম। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দও কঠোর মনোভাব নিয়ে সিরিয়াস ছিলেন কিন্তু হায়রে করোনা —–!
সবাই তো শুধু জেলা কমিটি নিয়ে ভাবেন, পোষ্ট মর্টেন করেন। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা যুবলীগের কমিটি আমার জানা মতে ২৪ বছরের পুরনো। কিশোরগঞ্জ জেলার কয়েকটি উপজেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ১৮ বছর পেরিয়েছে ইচ্ছে ছিল এসব নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভায় আলোচনা হবে, একটা সুরাহা হবে, কিন্তু করোনা যে পিছু ছাড়ছে না।
অনেকে মনে করেন আমরা নেতৃত্ব আকড়ে আছি, তাদের সবিনয়ে বলছি নিজেরাও স্বাধীনভাবে আপনার কথা সম্মানিত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে জানাতে পারেন। এখানে তো আমরাও বাধা নই। তখন আপনারই অভিজ্ঞতা হবে আমরা কেমন আছি।
এটা তিক্ত সত্য যে, সামগ্রিকভাবে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমাদের উপর সন্তুষ্ট নন এবং জেলায় যুবলীগের নতুন প্রজম্মও আমাদের প্রতি অসন্তুষ্ট। আমি চেষ্টা করেছি সবার কাছে যাওয়ার – সবার পাশে থাকার। এই দীর্ঘসূত্রিতার জন্য দয়া করে অন্তত আমাকে দায়ী করবেন না আশা করি। এই প্রত্যাশা ও অনুরোধটুকু সবিনয়ে নিবেদন করলাম।