করিমগঞ্জে সাবেক সংসদ সদস্য ড. মিজানুল হক এর মৃত্যুতে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল করেছে নবগঠিত করিমগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ।
২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ শোকসভা ও দোয় মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
করিমগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আওয়াল এর সঞ্চালনায় শোকসভা ও মিলাদ মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন করিমগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির স্বপন মাইজভান্ডারী।
মরহুম সাবেক সংসদ সদস্য ড. মিজানুল হক এর শোকসভা ও মিলাদ মাহফিলে তার আত্মার মাগফেরাত কামনাসহ সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মময় জীবনের আলোকিত নানাদিক নিয়ে আলোচনা করেন, করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নাসিরুল ইসলাম খাঁন, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুস ছালাম, কিরাটন ইউপি চেয়ারম্যান ইবাদুর রহমান শামীম, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মোল্লা, সহ সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন হীরা, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আবু আনিস ফকির প্রমূখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, কাদিরজঙ্গল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলী আজগর খোকন, পৌর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি নুরুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল কদ্দুছ, দপ্তর সম্পাদক মোঃ শহিদ্দুল্লাহ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হাবিবুর রহমান হবু, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রফিক, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শিপন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সেলিনা আক্তার,সহ দপ্তর সম্পাদক বাবু মহাপ্রভু পন্ডিত, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোঃ কামাল, পৌর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোস্তাক হাসান কাজল ও গুজাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এস এম আরজু।
আলহাজ্ব নাসিরুল ইসলাম খাঁন বলেন, মরহুম ড. মিজানুল হক করিমগঞ্জ-তাড়াইলের দুইবারের সাংসদ ছিলেন। উনার সময়ে করিমগঞ্জ-তাড়াইলের আওয়ামী রাজনীতি সুসংগঠিত ছিল। তিনি নিয়মিত নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নিতেন। আমি তাঁর আত্মার মাগফেরাত ও জান্নাত কামনা করি।
নবগঠিত পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির স্বপন বলেন, ড. মিজানুল হক স্বচ্ছ ও স্পষ্ট রাজনীতির ধারক বাহক ছিলেন। আমি মরহুমের আত্মার শান্তি ও জান্নাত কামনা করছি।
পৌর আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক রবিউল আওয়াল বলেন, ড. মিজানুল হক এর মতো নেতা বিরল। তিনি আওয়ামী লীগের সাংসদ থাকাকালীন সময়ে করিমগঞ্জ-তাড়াইলের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আল্লাহ তাকে জান্নতবাসী করুন।
উল্লেখ্য গত ২৭ আগষ্ট শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ কিডনি ও লিভার সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন বলে জানা গেছে। গত ২০ আগস্ট তাকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপতালে ভর্তি করা হয়।
ড. মিজানুল হক বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক শিক্ষক ছিলেন। তিনি ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ, তাড়াইল) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়ে, আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।