ঘরে ৪ স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত ছাত্রদেরকে বলাৎকার করতো কওমি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল কাদির।
১০ আগস্ট ময়মনসিংহের ত্রিশালে দশ বছর বয়সী এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে আব্দুল কাদিরকে আটক করেছে ত্রিশাল থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মাদ্রাসায় আবাসিক থাকা অনেক ছাত্রকে নিয়মিত বলাৎকার করার অভিযোগও রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আব্দুল কাদির উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের পোড়াবাড়ী বাজারে কওমি মাদরাসা জামিয়া রশিদিয়া তালিমুল কোরআন মাদরাসা ও এতিমখানার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করতো। সে আরও তিনটি মাদরাসা পরিচালনা করে। বর্তমানে তার ঘরে চারজন স্ত্রী রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র ও থানার অভিযোগ পত্রে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার শিশুটি চার বছর ধরে জামিয়া রশিদিয়া তালিমুল কোরআন মাদরাসা ও এতিমখানায় আবাসিক থেকে দ্বীন-ই শিক্ষা গ্রহণ করে আসছিল। প্রায় রাতেই সবাই ঘুমিয়ে গেলে মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল কাদির ওই শিশুকে তার রুমে নিয়ে বলাৎকার করতো।
মঠবাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুস মন্ডল বলেন, বলাৎকারকারী কওমি মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল কাদির এর আগে আরও তিন ছাত্রকে বলাৎকার করেছে বলে ভুক্তভোগী ছাত্ররা জানায়।
যে ছাত্রকে বলাৎকার করে ধরা পড়েছে তার বাবা নেই, লজ্জায় কাউকে কিছু বলতে পারেনি। ঘটনাটি সহ্যের বাইরে চলে যাওয়ায় শিশুটি তার চাচাদেরকে লিখিতভাবে জানালে, পরে সবাই তা জানতে পারে।
ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মাইন উদ্দিন জানান, বলাৎকারের অভিযোগে কওমি মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল কাদিরকে আটক করা হয়েছে।