দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। ১৩ আগস্ট (শুক্রবার) রাতে কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির আলোনা সভায় দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থতিতে সংক্রমণ প্রতিরোধে বেশ কয়েকটি সুপারিশ প্রস্তাব গৃহীত হয়।
গৃহীত সুপারিশ সমূহ :
১। সারাদেশে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি ও এর নিয়ন্ত্রণে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় সাম্প্রতিককালে সরকারের দ্রুত বিধিনিষেধ শিথিল করার/তুলে নেয়ার সিদ্ধান্তে সভা উদ্বেগ প্রকাশ করে।
২। জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি জীবিকা ও দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখার সরকারের দায়িত্ব উপলব্ধি করে সরকারের গৃহীত সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার সুপারিশ করে।
৩। ন্যূনতম সভা/সমাবেশ, সামাজিক অনুষ্ঠান, পর্যটন/বিনোদন কেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার ইত্যাদি আরও কিছুদিন বন্ধ রাখা।
৪। রেস্টুরেন্ট-ক্যাফেটেরিয়াতে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা না রেখে কেবলমাত্র বিক্রি করার অনুমতি দেয়া।
৫। সক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচল।
৬। যে ক্ষেত্রে সম্ভব বাড়িতে বসে কাজ করা ও অনলাইন সভা/কর্মশালা/প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রেখে অফিস খোলা রাখা।
৭। শতভাগ সঠিকভাবে তিন লেয়ার বিশিষ্ট মাস্ক পরার নিশ্চয়তায় ও অন্যথায় পুনরায় বন্ধ করার বিধান রেখে অফিস, আদালত, ব্যাংক, দোকানপাট, বাজার খোলা রাখা।
সভায় সকল ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করার বিষয়ে জোর আরোপ করা হয়।
এছাড়াও পরামর্শ কমিটির সভাপতি স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমবিবিএস/বিডিএস কোর্সে দ্বিতীয় বর্ষ ও পঞ্চম বর্ষের ক্লাস চালুকরণের লক্ষ্যে পরামর্শক কমিটির পক্ষ থেকে নিম্নলিখিত পরামর্শ দেওয়া হয় –
ক) ক্লাস শুরুর আগে সব ছাত্র/ছাত্রীদের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের ওপর প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
খ) শতভাগ সঠিকভাবে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
গ) হাসপাতালের ওয়ার্ডে ও ক্লাসে ছাত্র/ছাত্রীদের সঠিকভাবে সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
ঘ) ছাত্র/ছাত্রীদের সংক্রমণের ওপর নজরদারি রাখতে হবে।
ঙ) সংক্রমিত ছাত্র/ছাত্রীদের চিকিৎসা/ আইসোলেশন এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ছাত্র/ছাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করতে হবে।