দেশব্যাপী আলোচিত কলেজ ছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সায়েম সোবহান তানভীরের কোন সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায়নি পুলিশ।
গত এপ্রিল মাসের ১৯ তারিখ রাতে ঢাকার গুলশান অভিজাত এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ২১ বছর বয়সী মোশারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঐদিন রাতেই আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ এনে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান তানভীর কে অভিযুক্ত করে গুলশান থানায় মামলা করে মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান তানিয়া। বিষয়টি নিয়ে তখন দেশব্যাপী আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠে।
অভিযোগে বলা হয়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মুনিয়ার সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে সায়েম সোবহান আনভীর । ঐ ফ্ল্যাটে তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল। কিন্তু বিয়ে না করে তানভীর মুনিয়াকে হুমকি দিয়েছিল।
তদন্ত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তানভীরের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
এদিকে মুনিয়ার বোন আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলা করলেও তার ভাই আশিকুর রহমান সবুজ দাবি করেন, তার বোন মুনিয়াকে হত্যা করা হয়েছে এবং হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর পুত্র শারুন চৌধুরী এর সাথে জড়িত।
মুনিয়ার লাশ উদ্ধারের পাঁচ দিন পর মুনিয়ার ভাই আশিকুর রহমান সবুজ ঢাকার আদালতে মুনিয়াকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে ‘হত্যা মামলার’ আবেদন নিয়ে গেলে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলার তদন্ত চলায় বিচারক নতুন মামলার কার্যকারিতা স্থগিত রাখার আদেশ দেন।
তিন মাস তদন্তের পর গত ১৯ জুলাই আদালতে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। তদন্তে, মুনিয়াকে আত্মহত্যার প্ররোচণায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান তানভীরের কোন সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায়নি পুলিশ। তাই তাকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে ।