কিশোরগঞ্জ ৩ সংসদীয় আসনের দুইবারের সফল সাবেক সংসদ সদস্য ড. মিজানুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অধ্যক্ষ আসাদুল হক।
২৭ আগষ্ট শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টায় কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ড. মিজানুল হক।
অধ্যক্ষ আসাদুল হক শোকবার্তায় বলেন, সদ্য প্রয়াত ড. মিজানুল হক জীবদ্দশায় আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন ও প্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। একই উপজেলার বাসিন্দা হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই দুজনার মধ্যে পরিচয় ছিল। তবে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে আমার সাথে সম্পর্কটা আরো ঘনিষ্ঠ হয়। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত করিমগঞ্জ-তাড়াইলের দুইবার সংসদীয় দায়িত্ব পালনকালে রাজনৈতিক ও দাপ্তরিক বিভিন্ন কাজে উনার সাথে একান্ত সময় পার করেছি। আমার জানা মতে উনি স্পষ্টভাষী ও দৃঢ়চেতা মানুষ ছিলেন। এমন একজন গুণী শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক ব্যক্তির মৃত্যুতে করিমগঞ্জ-তাড়াইলের অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে। আমি মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করছি। সেই সাথে মহান রাব্বুল আলামিন যেনো তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন ও তার পরিবার পরিজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহীদেরকে মৃত্যুর শোক সইবার তৌফিক দান করেন।
শোক বার্তায় তিনি আরও বলেন, ড. মিজানুল হক সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে করিমগ-তাড়াইলের যে সার্বিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তাঁর আগে ও পরে কোনো সাংসদ করিমগঞ্জ -তাড়াইলের এত উন্নয়ন করতে পারেনি। আমি মনে করি ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে দলীয় শীর্ষ নেতাদের চরম বিরোধিতা ও তৎকালীন তত্বাবধায়ক সরকারের আশির্বাদপুষ্ট জামাত-বিএনপির তাবেদারি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রহসনের নির্বাচনে ড. মিজানুল হকের পরাজয় এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে তাকে দলীয় মনোনয় বঞ্চিত করার মাধ্যমে করিমগঞ্জ-তাড়াইলের আওয়ামী রাজনীতিতে ধস চালু হয়েছে।