মাছটির দেহের রং কালচে সবুজ। চাপা আকৃতির এবং আঁইশ দ্বারা আবৃত। দেহের দু’পাশে হলুদ-সবুজাভ ডোরা দাগ। পাখনা সবুজাভ থেকে হলুদাভ বর্ণের । লেজ গোলাকার এবং মুখ তুলনামূলকভাবে বড়।
মাছটি লম্বায় প্রায় ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এদের প্রজনন মৌসুৃম হলো এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এরা জলজ লার্ভা, পোকামাকড় ও ছোট মাছ খেয়ে বেঁচে থাকে। সাধারণের ভাষায় বোকাসোকা এই মাছটিকে একসময় দেশের আনাচে কানাচে প্রায় সর্বত্রই পাওয়া যেতো। আজকাল আর দেখাই পাওয়া যায়না।
ছবি দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কিসের কথা বলছি। বাংলাদেশের বিলুপ্ত প্রায় ৫৪ প্রজাতির একটি হলো এই ‘মেনি মাছ’। মেনি মাছকে কেউ কেউ ভ্যাদা / ভেদুরি মাছও বলে থাকেন। আবার কেউ বলেন রয়না মাছ। মেনি মাছের ইংরেজী নাম Gangetic leaf fish, বৈজ্ঞানিক নাম Nandus nandus.
খেতে বেশ সুস্বাদু মেনি মাছ খাল-বিল, হাওর-বাঁওড় এবং নদীতে পানির তলদেশে কর্দমাক্ত পরিবেশে বসবাস করে। বর্ষায় প্লাবিত ডোবা, গর্ত ও ধান বা পাট ক্ষেতে এদের খুবসহজেই পাওয়া যেতো। কিন্তু ফসলী জমিতে ব্যাপক হারে সার- কীটনাশক প্রয়োগ, নদী-জলাশয়ের পানি শুকিয়ে যাওয়া, ব্যাপক হারে নিধন প্রভৃতি কারণে এই মাছের অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে।
তবে, কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলের অনেক জায়গায় এখনো মেনি মাছের দেখা মেলে।