কিশোরগঞ্জে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে (১০) বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার পরিচালক ও ওস্তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত দুইজনই পলাতক আছে।
গত সোমবার (২৯ আগস্ট) ভুক্তভোগী ছাত্রের পিতা বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
আসামীরা হলো কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার কান্দাইল এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা মুফতি হোসাইন মো. নাঈম ও ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পাড়া পাঁচাশি গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে মাদ্রাসার ওস্তাদ হাফেজ বেলাল হোসেন বিল্লাল (২৫)।
ভুক্তভোগী ছাত্রটি কিশোরগঞ্জ শহরের নগুয়া শ্যামলী সড়কে জামিয়াতুস সুন্নাহ নামক মাদ্রাসায় আবাসিক ছাত্র হিসেবে হেফজ বিভাগে পড়ে। পাঁচ বছর আগে তাকে এ মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ আগস্ট সকালে মাদ্রাসার ওস্তাদ বেলাল হোসেন বিল্লাল মাদ্রাসার টয়লেটে নিয়ে শিশুটিকে বলাৎকার করে। পুনরায় ২৭ আগস্ট সকালেও টয়লেটে নিয়ে বলাৎকার করে বিল্লাল। এরপর ছেলেটি মাদ্রাসা থেকে বাসায় চলে যায় এবং তার পিতাকে ঘটনাটি খুলে বলে।
ঘটনা শুনে ছেলেটির পিতা কয়েকজন আত্মীয়কে নিয়ে মাদ্রাসায় যান এবং পরিচালক নাঈমের কাছে ঘটনাটি জানান। পরিচালক নাঈম ওস্তাদ বিল্লালকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে বিল্লাল প্রথমে ঘটনা অস্বীকার করলেও পরে জেরার মুখে ঘটনাটি স্বীকার করে। এ অবস্থায় বিল্লালকে পরিচালকের জিম্মায় রেখে বাসায় চলে আসেন তারা।
পরে মাদ্রাসায় গিয়ে বিল্লালকে খুঁজে না পাওয়া গেলে পরিচালক নাঈম জানান, বিল্লাল ক্ষমা চাওয়ায় তাকে পালিয়ে যেতে দিয়েছেন তিনি।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বলাৎকারের ঘটনায় অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।